Training Programme on Leadership and Human Rights

On 12-13 June, 2017 IPDS, with the support from International Labour Organization-ILO has organized a two day long training programme on Leadership and Human Rights. Tea workers and leaders from different vally’s of Sreemangal were attended this event. The programme is took place at Labour House, Sreemangal where representative from Gov. labour sector, ILO, Bangladesh Tea Union, rights activists facilitated sessions on different relevant...
read more

দেশহীন মানুষের কথা – ঈশ্বর সাঁওতালদের ভুলে গেছে?

ঈশ্বর সাঁওতালদের ভুলে গেছে? সঞ্জীব দ্রং | ১৩ নভেম্বর ২০১৬, ০০:৫৮ গাইবান্ধার সাঁওতালি গ্রামে চলছে কান্না আর হাহাকার। নিজ দেশের পুলিশ ও প্রশাসনের তাণ্ডবে তারা স্তম্ভিত, দিশেহারা। কমপক্ষে তিনজন সাঁওতাল কৃষক নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আরও একজন সাঁওতাল নারী মারা গেছেন। তাঁর নাম জানা যায়নি। শ্যামল হেমব্রমের লাশ কয়েক দিন ধরে দিনাজপুর মেডিকেলের মর্গে পড়ে ছিল। সন্ত্রাসী ও পুলিশের মিলিত অত্যাচার ও গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁর স্বজনদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিভীষিকায় সাঁওতালেরা স্তব্ধ হয়ে গেছেন। গ্রামে আগুন লাগানোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারপরও পুলিশ বলেছে, কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তারা জানে না। হামলায় তিন সাঁওতাল নিহত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে গুলির দাগ, আহত ব্যক্তিদের শরীরে বিঁধে আছে গুলি। গুলির হিসাব নেওয়া হোক। চরন সরেন ও বিমল কিস্কু হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। বৃদ্ধা মুংলি সরেন বুলেটবিদ্ধ হয়ে বাড়িতেই আছেন। দ্বিজেন টুডু চোখে বুলেটবিদ্ধ হয়ে এখন ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে আছেন। তাঁকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে আর রশি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালের বেডের সঙ্গে আটকে রেখেছে। মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর একজন সাঁওতাল কৃষক এই নিষ্ঠুর নগরে এভাবে পড়ে আছেন। বাগদা ফার্মের পাশের মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামের সাঁওতালদের বাড়িতে প্রকাশ্যে লুটপাট চালানো হয়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে গ্রামের মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় ক্যাথলিক গির্জাঘরের সামনে। সাঁওতাল তরুণেরা বলেছেন, তাঁরা তো একাত্তর দেখেননি, এখন দেখছেন সাম্প্রদায়িকতা কত ভয়ংকর, মানুষ কত বর্বর হতে পারে। এখানে সংক্ষেপে বলা দরকার যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ৮৪২ দশমিক ৩০ একর জমি মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের জন্য অধিগ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার। এলাকাটি সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম নামে পরিচিত। অধিগ্রহণের ফলে ১৫টি আদিবাসী গ্রাম ও ৫টি বাঙালি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুক্তিতে লেখা ছিল, অধিগ্রহণকৃত জমিতে আখ চাষ করা হবে। আখ চাষ না হলে এসব জমি আগের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটি ছিল লিখিত চুক্তি। অধিগ্রহণের পর বেশ কিছু জমিতে আখের চাষ হয় এবং আখ দিয়ে চিনি উৎপাদন করা হয়। কিন্তু চিনিকল কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ৩১ মার্চ ২০০৪ সালে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে নানা সময়ে কখনো চালু হয়, আবার বন্ধ হয়। এভাবেই চলতে থাকে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ নিয়ম লঙ্ঘন করে অধিগ্রহণকৃত জমি বহিরাগত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে ইজারা দিতে শুরু করে। অধিগ্রহণের চুক্তি লঙ্ঘন করে আখ চাষের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে ধান, গম, সরষে, আলু, তামাক ও ভুট্টা চাষ শুরু হয়। সেখানকার আদিবাসী ও বাঙালি জনগণ বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করে। জনগণের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম এলাকা সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি জমিতে ধান, তামাক ও...
read more

Indigenous Peoples Day-2016 Celebration by IPDS

IPDS organised a rally marking the International Day of the World’s Indigenous Peoples at the Central Shaheed Minar in...
read more

IPDS Celebrate WANNA Festival

UNO Haluaghat Upazila, Dramatist-Mamunur Rashid and Tushar Khan, Sanjeeb Drong and others are at WANNA Festival.           Performing at WANNA Festival WANNA Festival Group...
read more

IPDS forms a human chain

IPDS  forms a human chain in front of Bangladesh National Museum in the capital dated at 10th November protesting the two deaths in Sunday’s clash between police, labourers and Santal community people in Shahebganj of Gaibandha’s Gobindaganj over a land dispute.
read more

সাঁওতালদের উচ্ছেদের ঘটনা গণহত্যার শামিল: সুলতানা কামাল

রাজধানীতে আদিবাসী ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা তিনটি সংগঠনের যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “গাইবান্ধার বাগদাফার্ম এলাকায় যা ঘটেছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের নেই। এরকম একটির পর একটি নিষ্ঠুর, অমানুষিক, অমানবিক ঘটনা দেখে আমাদের শিওরে ওঠা ছাড়া কিছুই করার থাকছে না। ‘একাত্তরের গণহত্যারীদের পাশে সরকারের নাম লেখা হয়ে যাবে’ বলে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, তারা একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা, লুট ও অগ্নিসংযোগসহ সব রকমের উপায় ব্যবহার করেছে, যা ‘গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে’ মিলে যায়। “সরকারই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে- এদেশে আদিবাসী বলে কিছু নেই। এখন তারা নিজেদের কথার সত্যতা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। যেভাবেই হোক তারা দেশটাকে আদিবাসীহীন করতে চাচ্ছে।” গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের জমির দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারিদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন সাঁওতালের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন থেকে ওই ঘটনায় চারজন সাঁওতাল নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। পাশাপাশি ২০ জনের বেশি আদিবাসী নারী-পুরুষ আহত ও বেশি কিছু নিখোঁজ থাকার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সম্মিলত দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য দেন। তারা সবাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনের নেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, “গাইবান্ধায় যা ঘটেছে তা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যকাণ্ড। ওই এলাকার সংসদ সদস্যের হাতে রক্তের দাগ আছে, একাধিক হত্যাকাণ্ডের সাথে সে জড়িত, তার বিচার হয়নি।” ওই এলাকার (গাইবান্ধা-৪) আওয়ামী লীগের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আলম বুলবুলের নেতৃত্বে সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে শাকিল আলম ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জানালেও ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আর সাংসদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, তিনি ঘটনার সময় গাইবান্ধায় ছিলেন না। তাকে ফাঁসাতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার করেছে। পঙ্কজ ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “গণহত্যার দায়ে এদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হওয়া উচিত। যখন রাষ্ট্র দুর্বৃত্তের হাতে চলে যায়, তখন বিচার বিভাগ ছাড়া আমাদের উপায় থাকে না। তাই আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।” সংবাদ সম্মেলনে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “কয়েকদিন আগে নাসিরনগরে যা ঘটলো তা বর্বরতার চরমতম নিদর্শন। এ নিয়ে নানা রকমের বাদ-প্রতিবাদ করতে করতেই আরেকটি ঘটনা। “পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যেরকম রাজাকার, আলবদর থাকতো তেমনি পুলিশের সাথে এখন ছাত্র-যুব বাহিনী দেখা যায়।” আর এসব সহযোগী বাহিনীকে সাথে নিয়ে পুলিশ ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করছে বলে...
read more